ইঁদুর-মাকড়সার দাপাদাপি- ঘরে ইঁদুর সব কেটেকুটে সাফ করে দিচ্ছে? দেখেও কিছু করতে পারছেন না? সুগ্রীব দোসরের মতো ইঁদুরের সঙ্গী হয়েছে আবার আরশোলা? বিষ দিয়েও ইঁদুর মারতে পারছেন না?
কী বলছেন, বিষ মেশানো খাবার দাঁতেই কাটছে না তো মারবেন কী করে? নাকি ঘরে ছোট বাচ্চা থাকার কারণে বিষ দিতে পারেন না?
কারও ঘরে ইঁদুর-আরশোলা আবার না-থাকলেও দিব্য আস্তানা গেড়ে বসেছে টিকটিকি-মাকড়সা। মাকড়সার ভয়ে বাথরুমে যেতেও ভয় লাগে? দেওয়াল বেয়ে টিকটিকির এমনই এদিক-ওদিক ছুটোছুটি ভয়ে শিউরে যাচ্ছেন? আপনার বাচ্চাও ভয়ে আঁতকে উঠছে?
জীববৈচিত্র্য, প্রকৃতির ভারসাম্য, ইকোসিস্টেম এসব বাদ দিন। ঘরে তো আর পোকামাকড়ের সঙ্গে থাকা যায় না। ইদানীং আবার মশার উত্পাতও খুব বেড়েছে? সন্ধেবেলায় বাদ দিন, রাতেও মশার জ্বালায় তিষ্ঠতে পারছেন না?
এত খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে প্রশ্নের একটাই কারণ, সমধান রয়েছে আপনার হাতের মুঠোতেই। পুদিনাগাছ চেনেন নিশ্চয়ই। এই পুদিনার গন্ধ আমাদের অস্বস্তির কারণ না-হলেও, ইঁদুর-মাকড়সাদের একদমই সহ্য হয় না। ঘরে পুদিনার পাতা থাকলে, এই কীটপতঙ্গ-পাল পালানোর পথ পাবে না।
কী ভাবে কাজে লাগাবেন পুদিনা? খুবই সোজা। বাজার থেকে পুদিনা পাতা কিনে এনে ভালো করে বেটে পুদিনা-চা বানিয়ে ফেলুন। ঘরের চার কোণে, বাথরুমে, যেখানে ইঁদুর-মাকড়সা-আরশোলার উত্পাত বেশি, স্প্রে করুন।
বিশেষত দরজা-জানলার চারপাশে। টবে বসানো পুদিনার গাছও ঘরে বসাতে পারেন। দেখুন কেমন ম্যাজিক কাজ করে।